Drop Down MenusCSS Drop Down MenuPure CSS Dropdown Menu

Sunday, June 21, 2015

কবুতর পালনের উপায়

কবুতর পালনের উপায়
Yellow jacobin
 Jacobin


অনেকের ধারনা কবুতর পালন  জটিল বিষয় । কবুতর কিভাবে লালন পালন করবে তা নিয়ে চিন্তিত থাকে।
কবুতর পালন করতে বেশি জায়গাও লাগে না আবার অল্প সময়ে বাচ্চা পাওয়া যায়, বাচ্চার দামও বেশি পাওয়া যায় । মোট কথা লাভজনক এই পাখি পালনের জন্য বাড়তি জ্ঞান ও শিক্ষার প্রয়োজনও পড়ে না, শুধুমাত্র সামান্য নজরদারি আর সতর্ক হলেই কবুতর পালন  করে বেকারত্ব দূর করা যায়। সেই সঙ্গে সংসারে বাড়তি কিছু টাকাও যোগ করা সম্ভব। এ ছাড়াও চিত্তবিনোদনের একটি আকর্ষণীয় উপায় হলো কবুতর পালন । কবুতর প্রতি মাসে দুটি করে বাচ্চা দেয়। বাচ্চার বয়স ২১ দিন হলেই বিক্রির উপযোগী হয়। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, অন্যান্য পাখির মতো কবুতর খাদ্যের অপচয় বেশি করে না। বরং বলা যায় অপচয়রোধী পাখি কবুতর।


কবুতরের জাত:
পৃথিবীতে ৬০০ জাতের কবুতর আছে। ‘জালালি কবুতর’ উন্নত জাতের দেশি কবুতর। এ ছাড়াও মাংস উৎপাদনের জন্য হোয়াইট কিং, টেক্সেনা, সিলভার কিং, হামকাচ্চা, কাউরা, হোমার, গোলা, ডাউকা, লক্ষ্যা ও পক্কা উল্লেখযাগ্য কবুতরের জাত।
চিত্তবিনোদনের জন্য রয়েছে সিরাজী, ময়ুরপঙ্খী, লাহোরি, ফ্যানটেইল, জেকোবিন , মুকি, গিরিবাজ, টেম্পালার, লোটন প্রভৃতি। গিরিবাজ কবুতর উড়ন্ত অবস্থায় ডিগবাজি খেয়ে চিত্তাকর্ষণ করে।
কবুতর পালনকারীর কাছ থেকে কবুতর কিনতে পাওয়া যায়। অথবা বাজারেও পাওয়া যায়। তবে দেখে শুনে সুস্থ কবুতর ক্রয় করা উচিত ।
কবুতরের জন্য ঘর:
ক্ষতিকর প্রাণী ও পাখি যাতে কবুতরকে খেয়ে ফেলতে না পারে সে জন্য প্রয়োজন উঁচু ও শক্ত ঘর। হালকা কাঠ, বাঁশ ও বাঁশের চাটাই, শন, পলিথিন, খড় ইত্যাদি সহজলভ্য উপকরণ দিয়ে কবুতরের ঘর বানানো যায় সহজেই।বাসা বাড়িতে বারান্দাতে পালা যায় । প্রতি জোড়া (একটি পুরুষ ও একটি স্ত্রী) কবুতরের জন্য এক বর্গফুট করে ঘর হলেই চলে। একই সঙ্গে একই জায়গায় কবুতরের ঘর কয়েক তলা করা যেতে পারে। এত খরচ বাঁচানো যায় ।
এক বর্গফুট মাপের ঘরের সামনে ৫/৬ ইঞ্চির বারান্দা অবশ্যই রাখতে হবে, যাতে কবুতর সহজে দূর থেকে উড়ে এসে আশ্রয় নিতে পারে আবার খাবারও খেতে পারে। প্রতি ঘরের দরজা রাখতে হবে ৪ ইঞ্চি বাই ৪ ইঞ্চি।
ঘর সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। প্রতি মাসে একবার করে ঘর পরিষ্কার করে দিতে হবে। ডিম পাড়ার সময় যাতে সহজেই খড় সংগ্রহ করতে পারে সে জন্য কবুতরের ঘরের আশপাশে খড় রেখে দিতে হয়। ঘর রাখতে হবে সবসময় শুকনো।
কবুতরের খাবার :
কবুতর সাধারণত জোয়ার, ভুট্টা, ধান, চাল, কলাই, কাউন, মটর, খেসারি, সরিষা, গম কবুতরের পছন্দনীয় খাবার। এসব খাদ্য প্রতিদিন প্রত্যেকটি কবুতরের জন্য ৩৫ থেকে ৬০ গ্রাম খাদ্য প্রয়োজন। এ ছাড়া বাজারেও কিনতে পাওয়া যায় কবুতরের খাবার। তবে সেসব খাদ্যে ১৫% থেকে ১৬ % আমিষের নিশ্চয়তা থাকতে হবে।
প্রতি ঘরের সামনে নিয়ম করে খাবার রেখে দিতে হবে সকাল ও বিকালে, সেই সঙ্গে দিতে হবে পর্যাপ্ত পানির জোগানও।
ঘরে কবুতরের সুষম খাদ্য তৈরি করা যায়। কবুতরের জন্য প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যে ভুট্টা ভাঙা ৩৫ গ্রাম, গম ভাঙা ২০ গ্রাম, সরিষা দানা ১৫ গ্রাম, ছোলা ভাঙা ২০ গ্রাম, সয়াবিন ভাঙা ৫ গ্রাম, চালের কুঁড়া ৪.৫ গ্রাম, লবণ ০.৫ গ্রাম।
কবুতরের রোগব্যাধির চিকিৎসা:
কবুতরের খুব বেশি রোগের প্রকোপ দেখা যায় না। তবে যেসব রোগ হয় সেগুলোর মধ্যে বসন্ত, কলেরা, রক্ত আমাশয় যাকে বলা হয়ে থাকে ককসিডিওসিস, আরও আক্রমণ করতে পারে কৃমি।
কবুতরের বসন্ত রোগে পালকবিহীন স্থানে ফোস্কা পড়ে। গলার ভেতর ঘা হয়, খেতে পারে না। রোগ দেখা দিলে আক্রান্ত কবুতরের গুটিতে টিংচার আয়োডিন বা স্যাভলন লাগানো যেতে পারে। কবুতরের বয়স যখন চার সপ্তাহ তখন পিজিয়ন পক্স টিকা বুকে ও পায়ের পালক তুলে সিরিঞ্জ দিয়ে দিলে বসন্ত রোগ হয় না।
কলেরা রোগ হলে অস্বাভাবিকভবে কবুতরের দেহের তাপমাত্রা বাড়ে। শ্বাসকষ্ট হয়, পিপাসা বাড়ে, সবুজ বা হলুদ রঙের ঘন ঘন পায়খানা হতে পারে, কবুতরের ওজন কমে যায়। শেষে কবুতর হঠাৎই মারা যায়। কলেরা রোগে আক্রন্ত কবুতরকে রোগ দেখা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে টেরাসাইসিন ক্যাপসুল বা ইনজেকশন বা কসুমিক্স প্লাস দেয়া যেতে পারে।
রক্ত আমাশয় বা ককসিডিওসিস রোগে রক্ত পায়খানা হয়। খাবার প্রতি অরুচি বাড়ে ও শরীরে দুর্বলতা দেখা যায়। শেষে পালক ঝুলে পড়ে। রোগ দেখা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গ বা রোগের আশঙ্কা করলে পানিতে মিশিয়ে ই.এস.বি-৩ আ এমবাজিন জাতীয় ওষুধ খাওয়াতে হবে প্যাকেটের নির্দেশনা মতো।কৃমি হলে কবুতর দুর্বল হয়ে পড়ে ও ডায়রিয়া হয়। পানির পিপাসা বাড়ে। রক্তশূন্যতা দেখা যায়। কবুতর তার ওজন হারায়।সময় মত ব্যবস্থা নিলে বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।


কবুতর সম্পর্কিত জানার জন্য :  http://rarepigeon.blogspot.com/ ,
 https://rarepigeoncollection.wordpress.com/

1 comment:

  1. হেলো ব্লগার আপনার কবুতর পালন এই লেখাটি পড়ে আমি অত্যন্ত উৎসাহিত হয়েছি। আমি নিজেও অনেক দিন যাবত কবুতর পালন করে আসছি।


    " বন্ধুগণ আমার কবুতরের খামারের সকল ভিডিও গুলো দেখে আসুন এখান থেকে

    আমি অনেক দিন যাবত কবুতর পালন করে আসছি। আর আপনার যদি কবুতর পালনে উৎসাহিত হোন তাহলে আমার ভিডিও চ্যানেলে সাবস্কাইব করে রাখুন আমি বি

    ReplyDelete